মঙ্গলবার ভোর ৫:৩৩, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য করে ভুল হয়েছে, ড. কামাল হোসেন

বিভাগ রাজনীতি, 12 January, 2019.

ঢাকা ব্যুরো: জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য করে ভুল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম সভাপতি এবং ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

১২ জানুয়ারি শনিবার রাজধানীর আরামবাগে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য করে অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে কখনও রাজনীতি করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না। আমি যখন ঐক্যে সম্মতি দিয়েছি তখন জামায়াতের কথা আমার জানা ছিল না। এটা ঐক্যফ্রন্ট গঠনে ভুল ছিল। এছাড়াও তড়িঘড়ি করে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে যেসব ভুলত্রুটি হয়েছে তা সংশোধন করা হবে বলেও জানান ড. কামাল।

জাতীয় নির্বাচনকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, দেশের মানুষের মধ্যে মৌলিক বিষয়ে কিন্তু ঐক্যমত্য আসেনি। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সংসদ গঠিত হোক, এটা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর যা ঘটেছে সেটা তো আপনারা সংবাদ মাধ্যমে পাচ্ছেন।

দেশের স্বার্থে সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে সেটা পারে, দাবি করে ড. কামাল বলেন, তারা চাইলে দুই তিন মাস বা তার চেয়ে কম সময়ের মধ্যে একটা নির্বাচন করা যেতে পারে। এছাড়া আগামী ২৩ এবং ২৪ মার্চ ঢাকায় গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান ড. কামাল হোসেন।

ড. কামাল বলেন, জামায়াতের ২২ জন প্রার্থীকে প্রতীক দেওয়া হবে, বিষয়টি আমি জানতাম না। দেওয়ার পর বিএনপির কাছে আমি ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম। তারা বলেছে সবাই ধানের শীষের প্রার্থী। জামায়াতের কেউ নেই।

লিখিত বক্তব্যে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, তাড়িঘড়ি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃত ভুলত্রুটি সংশোধন করে ভবিষ্যৎ সংগঠিতভাবে গঠন করা হবে।

বিএনপিকে জামায়াত ছেড়ে আসতে চাপসৃষ্টি করা হবে কি-না সে বিষয়ে ড. কামাল বলেন, আমিতো মনে করি জামায়াত ছেড়ে আসতে বিএনপিকে চাপ দেওয়া যেতে পারে। বিএনপির সঙ্গে জামায়াত থাকলে ভবিষ্যতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, জামায়াত নিয়ে কোনো রাজনীতি নয়, অবিলম্বে এ বিষয়ে সুরাহা চাই।

সরকারের উদ্দেশে ড. কামাল বলেন, আপনারা যদি মনে করেন আপনাদের উপর মানুষের আস্থা আছে সেটা প্রমাণ হোক একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। যাতে প্রমাণ হয় সব মানুষ যেতে পেরেছে, লাইনে যারা দাঁড়িয়েছে তারা ভোট দিতে পেরেছে। আমাদেরতো অনেকগুলো লাইন দেখানো হয়েছে, অনেকে লাইনে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু ভোটের সময় বলা হয়েছে আপনারটা যা করার হয়ে গেছে, আপনাদের আর কাজ নেই।

সরকারকে বলবো বিতর্ক না বাড়িয়ে একটা সমাধান করা হোক। গণতন্ত্রের ব্যাপারে, সংবিধানের ব্যাপারে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের মধ্যে ঐক্য আছে। যেখানে এতগুলো মৌলিক ব্যাপারে ঐক্যমত আছে, সেখানে সরকারকে এটার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই কিন্তু সুযোগ দেওয়া উচিত যাতে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে। সবার আস্থা নিয়ে যে কেউ সরকার গঠন করে, তারা সেভাবে সরকার গঠন করলে তাদেরও দায়িত্ব পালন করা সহজ হয়, দেশও যেটা প্রাপ্য সেটা পায়।