বৃহস্পতিবার সকাল ৭:২৪, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

৭১’র পর কোনো বাংলাদেশি ভারতে মাইগ্রেট করেনি

বিভাগ রাজনীতি, 3 September, 2019.

ঢাকা ব্যুরো: আসাম পরিস্থিতি নিয়ে ‘এখনই নিজেদের ঘাড়ে নিজেরা দোষ চাপানোর কোনো কারণ নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার এক মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমারা এখানে আসাম দিয়ে বিবেচনা করব না। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আমরা যা পেয়েছি সেটা হচ্ছে যে, আগামী চারমাসে নাগরিকত্ব বাতিলকরাদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে। আর আমরা সাধারণভাবে জানি ১৯৭১ সালের পরে কোনো বাংলাদেশি ভারতে মাইগ্রেট করেনি।

তিনি বলেন, কাজেই আমাদের এখনই নিজেদের ঘাড়ে নিজেরা দোষ চাপানোর কোনো কারণ নেই। এ নিয়ে আমাদের তারা আশ্বস্ত করেছেন। আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো বিষয় এখন পর্যন্ত নেই। কারণ বিষয়টির লিগ্যাল প্রসেস কম্প্লিট করে সিদ্ধান্ত আকারে আসতে আরো সময় নেবে। সে পর্যন্ত কী দাঁড়ায় সেটা আমাদের চিন্তা-ভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এ সময় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ও আসামের অনাগরিক পরিস্থিতি একইভাবে দেখার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগস্ট শোকের মাস। এ মাসে আমরা কিছু কিছু সিদ্ধান্ত আছে সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন স্থগিত রাখি। উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী এবং বিদ্রোহের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আগস্ট মাস থাকায় আমরা এটা স্থগিত রেখেছিলাম। সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে আমরা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর করা শুরু করবো।

তিনি বলেন, যারা বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন তারা ৮ সেপ্টেম্বরের আগে বৈঠক করবো। এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থাটা যাতে নিখুঁত উপায়ে এবং এটা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যকর করা যায় সেই জন্যই আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার কাজ করছি। তবে ৮ তারিখ থেকে চিঠি দিতে শুরু করবো। সেটাই আজকে আমাদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অক্টোবরে জাতীয় সম্মেলন হবে কী না- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটা ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা হতেই পারে। সাংগঠনিক কার্যক্রমের আমাদের এজেন্ডার মধ্যে আসতে পারে। আমরা সম্মেলন করার জন্য প্রস্তুত। আমাদের নেত্রী যখনই সিদ্ধান্ত নেবেন, তখনই আমরা প্রস্তুত।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।