সোমবার রাত ৯:০৩, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

নাট্যকর্মী ঊষা গাঙ্গুলির মরদেহ উদ্ধার

বিভাগ বিনোদন, 23 April, 2020.

বিনোদন রিপোর্টঃ পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত নাট্যকর্মী ঊষা গাঙ্গুলি (৭৫) আর নেই। ২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কলকাতার নিজের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ঊষা একা বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার সকালে তার গৃহপরিচারিকা ঘরে গিয়ে দেখতেন পান তার নিথর দেহ মাটিতে পড়ে আছে। ঘরের দরজা খোলা ছিল। এরপর প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় চিকিৎসক আনা হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুর কারণ জানতে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

কিছুদিন আগে ঊষার ছোট ভাইয়ের মৃত্যু হয়। শোকগ্রস্ত অবস্থায় জীবনের শেষ কয়েকটা দিন বিষণ্ণতা কেটেছে তার। বর্ষীয়ান এই নাট্যকর্মীর মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গের নাট্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৯৪৫ সালে রাজস্থানের যোদপুরে জন্মগ্রহণ করেন ঊষা গাঙ্গুলি। সত্তর ও আশির দশকে বাংলা রঙ্গমঞ্চের অন্যতম প্রথিতযশা শিল্পী ছিলেন তিনি। ১৯৭৬ সালে হিন্দি থিয়েটার গ্রুপ ‘রঙ্গকর্মী’ প্রতিষ্ঠা করেন। ‘মহাভোজ’, ‘রুদালি’, ‘কোর্ট মার্শাল’ এবং ‘অন্তর্যাত্রা’র মতো নাটকগুলো প্রস্তুত করেছিল এই নাট্যদল। ১৯৭০ সালে মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন ঊষা।

সংগীত কলা মন্দিরে তার অভিনীত প্রথম নাটক ছিল ‘মিট্টি কি গাড়ি’, যেখানে তিনি নটী বসন্তসেনার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। নাটক পরিচালনার আগে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত এবং বিভাস চক্রবর্তীর পাশাপাশি তৃপ্তি মিত্র এবং মৃণাল সেনের কাছে নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ঊষা। মূলত তার হাত ধরেই পশ্চিমবঙ্গে হিন্দি থিয়েটারে পুনরুত্থান সম্ভবকর হয়েছিল।

১৯৯৮ সালে ‘সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি’ তাকে পুরস্কৃত করে। ‘গুড়িয়া ঘর’ নাটকে অভিনয়ের জন্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঊষাকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার সম্মান দেয়। ও হেনরি লিখিত ‘দ্য গিফট অফ দ্য ম্যাজাই’ অবলম্বনে ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত হিন্দি সিনেমা ‘রেনকোট’র যৌথ কাহিনিকার ছিলেন এই নাট্যব্যক্তিত্ব।