মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব রাজনৈতিক দল ও শক্তিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ওবায়দুল কাদের
ঢাকা অফিস: স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও অগ্নিসন্ত্রাসের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব রাজনৈতিক দল ও শক্তিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
২৪ ডিসেম্বর শনিবার আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় দেওয়া বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এই আহ্বান জানান।
এ সময় দেশের মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ আছে এবং থাকবে বলেও তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আন্দোলনে এবং নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন তারা (বিএনপি) সহ্য করতে পারছে না এজন্য তাদের এত জ্বালা।
তারা সরকার হঠাতে চায়। গত ১০ তারিখে তারা পারেনি। ৩০ তারিখও পারবে না। ৩০ তারিখে যদি তারা পারে, তাহলে অশ্ব ডিম্ব পাড়বে।
কাদের বলেন, খেলা হবে লুটপাট, জঙ্গিবাদ ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে। নির্বাচনে খেলা হবে, আন্দোলনে খেলা হবে। সবাই প্রস্তুত, হাত তোলেন।
এ সময় উদ্যানে উপস্থিত হাজারো নেতাকর্মী হাত তুলে সাড়া দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন,ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তি ঐক্যবদ্ধ হোন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আগুন সন্ত্রাস ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে রুখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। আমরা মানুষের পাশে ছিলাম মানুষের পাশে আছি। আমাদের অঙ্গীকার আমরা মানুষের পাশে থাকব।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বরের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিদের বিচার যাতে না হয়, সে জন্য মোশতাকের ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে সংবিধান সংশোধন করে জিয়া আইন করেছিল। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছিলো। আর ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড তার ছেলে হাওয়া ভবনের যুবরাজ মুচলেকা দিয়ে চলে গেছে তার আর রাজনীতি করবে না। সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৪৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ও সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। তিনি ক্রাইসিস ম্যানেজার। করোনায় এটি প্রমাণ হয়েছে। এখন বৈশ্বিক মহামারিতে আমরা কিছুটা বিপদে। তিনি এই পরিস্থিতিতেও রাত জেগে সারাদিন কাজ করে সামাল দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) আছেন বলেই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেন। আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষরা হিংসায় জ্বলে। মনে বড় জ্বালা। বড়ই অন্তর জ্বালা। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেই ফেললেন, ২৮ তারিখ মেট্রোরেল, একশ সেতু একশ সড়ক উদ্বোধন করলেন- এই জ্বালা আর সইতে পারে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ২০ বার শেখ হাসিনাকে হটানোর চেষ্টা করেছে। তারা জানে যে, নির্বাচন করলে শেখ হাসিনার সঙ্গে পারবে না। সেই জন্য সরকার হটাবে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে পারলে তারা মনে করে হারানো ময়ূর সিংহাসন ফিরে পাবে। পাবে না, আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। মোকাবিলা হবে, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, খেলা হবে। হবে খেলা ভোর চুরির বিরুদ্ধে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে। ভোর জালিয়াতি, ভুয়া ভোটার আর লুটপাটের বিরুদ্ধে। হাওয়া ভবনের অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। নির্বাচনে হবে। আন্দোলনে হবে। শেখ হাসিনা ডাক দিলে সবাই কি প্রস্তুত? আপনাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির এখন বিশ্বস্ত ঠিকানা শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িকতা, আগুন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদকে রুখতে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। উন্নয়ন আর অর্জনকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
সকাল সাড়ে দশটার দিকে সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে হাজারো নেতাকর্মী সম্মেলনে এসেছেন।