রাজশাহী সিটি লিটন তৃতীয়বার মেয়র নির্বাচিত
স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ষষ্ঠ মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। এনিয়ে তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন তিনি।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন ২১ জুন বুধবার রাত ৯টার দিকে খায়রুজ্জামান লিটনকে বেসরকারিভাবে মেয়র ঘোষণা করেন।
রাজশাহীর ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ১৫৫ কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল অনুয়ায়ী অপর দুই মেয়র প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙল প্রতীক) পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ভোট। জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল প্রতীক) পেয়েছেন ১১ হাজার ৭১৩ ভোট।
এর আগে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন আরও জানান, রাজশাহী সিটিতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার সংখ্যা ছয় জন।
এদিকে ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আনন্দে ফেটে পড়েন। মহানগরীর রানীবাজারে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা খায়রুজ্জামান লিটনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে বিজয় উল্লাস করেন। এ উৎসব ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়ও। দলীয় নেতাকর্মীরা নবনির্বাচিত মেয়র লিটনকে ফুলের মালা পরিয়ে উষ্ণ অভিনন্দন জানান।
এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী লিটন তালা প্রতীকে ৯৮ হাজার ৩৬০টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপি সমর্থিত মোসাদ্দেক হেসেন বুলবুল বাঘ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট। সেবার ভোট পড়ার হার ছিল ৮১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
২০১৩ সালে ১৮ দলীয় জোটের সমর্থনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে পরাজিত করেন। ওই বছর ভোট পড়েছিল ৭৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
এরপর সর্বশেষ ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে পেয়েছিলেন এক লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। ২০১৮ সালে ভোট পড়েছিল ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ।