ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬ টি আসনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে ৫ টিতে
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনের মাঠ। আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্র, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, জাসদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এর মনোনীত প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। শুধু পোস্টার ও মাইক বাজিয়ে প্রচারণায় সীমাবদ্ধ নেই প্রার্থীরা। প্রচার চালাচ্ছেন অনলাইন প্লাটফর্ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমেও।
নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোটারদের নিজেদের পক্ষে টানতে বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং কোন এলাকায় কখন গণসংযোগ করছেন সেটাও প্রার্থী ও সমর্থকরা অনলাইনে পোস্ট দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক ভাষায় তৈরি করা বিভিন্ন গান দিয়েও চলছে প্রচার প্রচারণা।
আসন ভিত্তিক প্রার্থী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের ৫ প্রার্থী হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি), আওয়ামী লীগের বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন (নৌকা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. ইসলাম উদ্দিন (মোমবাতি), জাতীয় পার্টির মো. শাহনুল করিম (লাঙল), ওয়ার্কার্স পার্টির মো. বকুল হোসেন (হাতুড়ি)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন স্বতন্ত্র মো. মঈন উদ্দিন (কলারছড়ি), ইসলামী ঐক্যজোটের আবুল হাসনাত (মিনার), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. রাজ্জাক হোসেন (আম), তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হাসান (সোনালি আঁশ), স্বতন্ত্র অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (ঈগল), জাতীয় পার্টির রেজাউল ইসলাম ভূইয়া (লাঙল), তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস (ফুলের মালা)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে সর্বাধিক ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে লড়ছেন ৭ জন। সর্বোচ্চ প্রার্থী এই আসনে। আওয়ামী লীগ মনোনীত র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (নৌকা) ছাড়া অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন স্বতন্ত্র ফিরোজুর রহমান ওলিও (কাঁচি), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মো. নূরে আজম (মোমবাতি), জাসদের আবদুর রহমান খান ওমর (মশাল), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মুজিবুর রহমান হামিদী (বটগাছ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাহমুদুল হক আক্কাছ (আম), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সোহেল মোল্লা (একতারা) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জামাল রানা (নোঙ্গর)।
প্রতিদ্বন্দ্বী সংখ্যার হিসেবে ৩-৪ এরপরই অবস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৫ আসনের। এ দুটি আসনে ৭ জন করে প্রার্থী রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনটিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংখ্যার হিসেবে হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে কম প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনটিতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মাত্র দু’জন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের প্রার্থীরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান বাদল (নৌকা), স্বতন্ত্র একেএম মমিনুল হক সাঈদ (ঈগল), সুপ্রিম পার্টির জামাল সরকার (একতারা), জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন (লাঙল), ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মেহেদী হাসান (মিনার), তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ জাফরুল কদ্দুস (ফুলের মালা), তৃণমূল বিএনপির হাবিবুর রহমান (সোনালি আঁশ)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৪ আসনের পরই প্রার্থী কম রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৪। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম (নৌকা), জাতীয় পার্টির আমজাদ হোসেন (লাঙল), সুপ্রিম পার্টির কবির মিয়া (একতারা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সফিকুল ইসলাম (আম)।