ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ বিএনপির একক প্রার্থী হলেও মহাজোটে তিনজন
ডা: নজরুল ইসলাম, নবীনগর: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-৫ আসনে নৌকা আছে, আছে লাঙ্গল, ধানের শীষ আর মশাল। নবীনগর সদরসহ উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে পাশাপাশি ঝুলছে এই তিন প্রতীকধারী প্রার্থীদের পোস্টার ও লিফলেট। ভোটের মাঠে আলোচনা এখন এটাই। মহাজোটের তিন প্রার্থী, আর বিএনপির একজন। সাধারণ ভোটাররা হিসাব-নিকাশ করছেন ঠিক সে ভাবেই।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনটি নবীনগর উপজেলার ২১ ইউনিয়ন আর এক পৌরসভা নিয়ে এই নির্বাচনী এলাকা। নির্বাচনের মোট প্রতিদ্বন্দ্বী ১০ জন। তবে আলোচনার শীর্ষে আছেন চারজন। মহাজোটের এবাদুল করিম বুলবুল, বিএনপির কাজী নাজমুল হোসেন তাপস, জাসদের শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন আর জাতীয় পার্টির কাজী মামুনুর রশিদ। জয়ের আশা তাদের সবারই।
সংসদ নির্বাচনের রেকর্ড অনুসারে ২০০৮ এর নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ এখানে জয় পায় দু’বার। আর জাতীয় পার্টি ৪ বার, বিএনপি একবার। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আসনটি ছেড়ে দেয়া হয় মহাজোটের শরিক জাসদকে। জাসদের শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ৪ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য কাজী মো. আনোয়ার হোসেনকে পরাজিত করেন। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে আবারো জিকরুলকেই দেয়া হয় জোটের মনোনয়ন। ‘শারীরিক অসুস্থতা’ এই কারণ দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে তিনি তার অনুসারী আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান বাদলকে মনোনয়ন ছেড়ে দেন। বর্তমানে বাদল এই আসনের এমপি হলেও তাকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেয়া হয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবাদুল করিম বুলবুলকে।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি-নবীনগরে এ তিন দলের অফিসই এখন সরগরম। বিভিন্ন এলাকা থেকে দলের নেতাকর্মীরা আসছেন তাদের নেতার কাছে। নিয়ে যাচ্ছেন পোস্টারসহ প্রচার সামগ্রী। নিচ্ছেন মাঠে কাজ করার দিক-নির্দেশনা। আর প্রার্থীরাও নেমেছেন নির্বাচনী ওয়ার্কে।