ড. কামাল তারেক জিয়ার নির্দেশে চলেন, সেতুৃমন্ত্রী
ঢাকা ব্যুরো: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক জিয়ার নির্দেশে চলেন এবং এটা লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আজকে রাজনীতি কোথায় গেছে। কামাল হোসেন সাহেব তারেক জিয়ার নির্দেশে চলে। মোস্তফা মহসিন মন্টু, মান্না এদের মতো নেতা আজ তারেক জিয়ার নাটাইয়ের টানে চলে। লন্ডন থেকে রশি টানে আর লন্ডন থেকে ছাড়ে।
১২ ডিসেম্বর বুধবার ধানমন্ডি কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত ‘নৌকায় ভোট দিন’ শীর্ষক প্রচার সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি গত তিন-চারদিন ঢাকায় ছিলাম না। ফেনী এবং আমার নির্বাচনী এলাকায় গিয়েছিলাম। আমি শুধু আপনাদের এতটুকু বলতে পারি, যা সত্য নয় তা প্রচার করে লাভ নেই। ৩০ ডিসেম্বর তো আমরা চাপা দিতে পারবো না। যখন ফলাফল বের হবে তখনই বোঝা যাবে। এখনকার মত জনস্রোত আমি এর আগে কখনো নৌকার পক্ষে দেখিনি। এটা আসলেই গণজোয়ার।
বিএনপির নির্বাচনের হাট ভেঙে গেছে, আন্দোলনের হাট অনেক আগেই ভেঙে গেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি সড়ক পথে ফেনী থেকে নোয়াখালী গিয়েছি। ধানের শীষের একটি স্লোগানও শুনিনি। তারা নির্বাচন করবে তাদের একটা প্রার্থীও মাঠে নেই আর মাঠে থাকবে কেন? মনোনয়নের জন্য টাকা দিয়ে আর টাকা পাচ্ছে না। এখন তারা কখনো ফখরুলের অফিস ভাঙে। কখনো তারা খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। কখনো নয়াপল্টন অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়, কখনো গুলশান অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
আওয়ামী লীগের দুই নেতাকর্মী নিহত হয়েছে, সেটা মিডিয়ার হেডলাইনে না এসে হেডলাইন হয় ফখরুল- এমন ক্ষোভ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে ফখরুলের কর্মীরা বিক্ষোভ করেছে। কোনো কোনো মিডিয়া প্রচার করেছে? অথচ আমাদের দুই কর্মী নৃশংসভাবে নিহত হলো সেই খবর কোনো মিডিয়াতে নেই। দুঃখের সঙ্গে বলছি কেন আমাদের সঙ্গে এ ব্যবহারটা করছেন। একটা দল হিসেবে আমরা তো অতিরিক্ত কিছু চাইছি না। আমাদের দু’জন কর্মীকে যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো সেটা এতো বড় কোনো নিউজ না, হেডলাইন হলো ফখরুল। অথচ ফখরুলের গাড়ির একটি কাঁচও ভাঙেনি। এদিকে আমাদের আওয়ামী লীগের অফিস ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। সে খবর কোথাও নেই। মিডিয়ার একাংশ আমাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ক্যাম্পিং করছে। মনে হচ্ছে তারাই ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র। মনে হচ্ছে তারাই বিএনপির কাগজ। বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত মিডিয়ার একটি অংশ ওই দলের হয়ে মাঠে নেমেছে। তাদের মনে রাখা উচিত তাদের মিথ্যাচারের বাংলাদেশের জনগণ বিভ্রান্ত হবে না।
জামায়াতে ইসলামীর কায়দায় বিএনপি প্রচারণা চালাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা আজকে প্রচারণা চালাচ্ছে বড় বড় লাঠির সঙ্গে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করে। আজকে তারা লাঠির সঙ্গে পতাকা ব্যবহার করছে। এবং সেটাকে প্ল্যাকার্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। আজকে এইচটি ইমাম নির্বাচন কমিশনে যাবেন এ বিষয়ে অভিযোগ জানাতে। তারা ধানের শীষের নিচের ধামাচাপা চাপাতি রেখেছে। এটা পুলিশ সেখানে লক্ষ্য করেছে এটা নির্বাচন কমিশনের জানানো উচিত।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের সভাপতিত্বে প্রচার সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আ’লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, উপ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। দেশ বরেণ্য তারকাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শমী কায়সার, শাকিল খান, তানভীন সুইটি, অরুণা বিশ্বাস, শাহরিয়ার নাজিম জয়, রোকেয়া প্রাচী, শুভ্র দেব, ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলাম আতিক প্রমুখ।