বাংলাদেশের বিজয়
ঢাকা ব্যুরো: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সে সব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।
তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে এভরিনিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, রোববার। ০২ পৌষ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
• ১৯০৪- কলকাতার প্রথম দৈনিক সান্ধ্য পত্রিকা ‘সন্ধ্যা’ প্রকাশিত হয়।
• ১৯৫০- সাইপ্রাসের জনগণ তাদের দেশের ওপর ব্রিটিশ আধিপত্য পরিসমাপ্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু করে।
• ১৯৭১- পাকিস্তানিদের পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম। এ দিন নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। সেদিন ঢাকার কেন্দ্রস্থলে রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানের পক্ষে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি। এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যৌথবাহিনীর প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা ও বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর উপ-সর্বাধিনায়ক ও ডেপুটি চিফ অব স্টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল করিম (এ কে) খন্দকার। বাংলাদেশের বিজয় দিবস হিসেবে প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর দিনটি বিশেষভাবে উদযাপিত হয়। ২২ জানুয়ারি, ১৯৭২ তারিখে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এ দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারিভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
• ১৯৭২- বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয়।
• ১৯৭২- বঙ্গবন্ধু সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
• ১৯৯১- কাজাকিস্তান নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
জন্ম
• ১৭৭৫- ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জেন অস্টেন।
• ১৯১৭- বিখ্যাত বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক এবং উদ্ভাবক আর্থার সি ক্লার্ক।
• ১৯০৬- বাঙালি কবি মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা।
• ১৯৪০- বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবী।
মৃত্যু
• ১৮৫৯- জার্মান লেখক ভিলহেল্ম গ্রিম।
• ১৯০১- ব্রিটিশ ভারতের ঢাকার নবাব খাজা আহসানউল্লাহ।
• ১৯৬৫- ব্রিটিশ কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার সমারসেট মম।
• ১৯৯৫- কণ্ঠশিল্পী ফিরোজ সাই।