জাতীয় প্রেসক্লাবের ২২তম দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা
ঢাকা ব্যুরো: জাতীয় প্রেসক্লাবের ২২তম দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সভা শুরু হয়। যা চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা পরিচালনা করেন ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল আলম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক, ক্লাবের কমিটি, ক্লাবের স্থায়ী ও সহযোগী সদস্যরা।
সভায় আলোচ্য সূচি ছিলো সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনে, কোষাধ্যক্ষের প্রতিবেদনে, অডিট প্রতিবেদন।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন তার প্রতিবেদনে বলেন, ক্লাবের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১ হাজার ২৯২ জন। এরমধ্যে স্থায়ী ১ হাজার ২২১ ও সহযোগী সদস্য ৭১ জন। চলতি বছর সামাজিক সমাবেশ (হাউজি) খাতে আয় হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৮ টাকা। যা গত বছর ছিলো ১ কোটি ১৪ লাখ ১১ হাজার ৫২৬ টাকা। তবে ৪ দিন হাউজি বন্ধ না হলে আয় আরও বাড়তো। এ বছর নিট আয় হয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৮৮৪ টাকা। সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা বাবদ পাওয়া গেছে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৮০ টাকা।
তিনি বলেন, প্রেসক্লাবের ৪টি রুমের নাম হবে ৪ জন সাংবাদিকের নামে। এখানে খেলাধুলা ও জিমনেসিয়াম হচ্ছে। অনেক সরঞ্জাম ইতোমধ্যে চলে এসেছে। সব সাংবাদিকের ডাটাবেজ হয়েছে। তাদের ইন্সুরেন্সের কাজও শিগগিরই শুরু হবে।
সভাপতির বক্তব্যে শফিকুর রহমান বলেন, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে কুক্ষিগত প্রেসক্লাবকে উদ্ধার করতে আন্দোলন করে আসছি। ২০০৫ সাল থেকে ক্লাবের জমি সরকারের হাতে চলে যায়। যেটি আবার উদ্ধার করেছি। কুক্ষিগত এ ক্লাব উদ্ধারসহ উন্নয়নে আমি নিজ থেকে লাখ লাখ টাকা খরচ করেছি। আমাদের সবার জন্য। আজ অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রতিবেদন পেশ করার পর তার প্রতিবেদনের ওপর ভূয়সী প্রশংসা করেন ফেডারেল সাংবাদিকের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।
তিনি বলেন, যখন আমরা ফরিদা আপাকে নির্বাচিত করি, তখন ভাবছিলাম কিভাবে চলবে। বিমান কোন দিকে যাবে। আজ তিনি বিষ্ময় সৃষ্টি করেছেন। ক্লাবের আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে তিনি বড় ভূমিকা পালন করেছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। যারা ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হবেন তারাই আগামী দুই বছর জাতীয় প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব দেবেন।
এবারের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম মনোনীত সাইফুল আলম-ফরিদা ইয়াসমিন ও বিএনপিপন্থী ফোরাম মনোনীত শওকত মাহমুদ-ইলিয়াস খান প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক শাহ আলমগীর হোসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন।