বিএনপি নির্বাচন থেকে সরবে না, কুমিল্লায় ফখরুল
জাকারিয়া মানিক কুমিল্লা: এ সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা নানা কৌশলে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু যতই ষড়যন্ত্র করুক, বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে যাবে না।
১৯ ডিসেম্ব বুধবার দুপুর সোয়া ১টায় কুমিল্লার চান্দিনার রেদওয়ান আহমদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে কুমিল্লা-৩ ও ৭ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী কাজী মুজিবুল হক ও ড. রেদওয়ান আহমদের সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাকি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বাস করবো। এই নির্বাচন নির্ধারণ করবে আমরা আমাদের স্বকীয়তা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো কিনা।
তিনি বলেন, আমাদের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে এ সরকার। তারা জোর করে ক্ষমতায় ঠিকে আছে। নির্বাচনের সময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা অনৈতিক। সব রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করেছে। দেশবাসী এদের সব ষড়যন্ত্র জনগণ রুখে দেবে।
‘আপসহীন ও জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে জালিম সরকার আটকে রেখেছে। তিনি গণতন্ত্রের জন্য সব অন্যায় মাথা পেতে নিয়েছেন। গণতন্ত্র ও দেশবাসীর জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা নির্বাচনকে ভয় পায়। অপনারা খালেদা জিয়ার মনোনীত প্রার্থী রেদওয়ান আহমদকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। এ নির্বাচন প্রহসনের নির্বাচন বানাতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। জনগণকে বোকা ভাববেন না। জনগণের ঐক্যে সবকিছু ছারখার হয়ে যাবে। জনগণের কাছে কোনো চক্রান্তই কাজ হবে না। ৩০ ডিসেম্বর সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, এখন টাকা আর আওয়ামী লীগ ছাড়া চাকরি পায় না। আমরা ক্ষমতায় গেলে চাকরি পাওয়ার আগ পর্যন্ত বেকার ভাতা চালু করবো। বিনা পয়সায় নাগরিকদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করবো। দাড়ি-টুপি পরলেই নাকি জঙ্গি, এটা তার ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।
জনসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তফা খান সফরী ও মো. সালাহ্উদ্দিন ভুইয়া শিশির প্রমুখ।