সোমবার দুপুর ২:৪৬, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট বাতিল, ফিরে আসছে বাংলাদেশ দল

বিভাগ খেলা, 15 March, 2019.

স্পোর্টস রিপোর্ট: ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল মাঠে ১৬ মার্চ শনিবার বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় টেস্ট হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু হ্যাগলি ওভালের খুব কাছের একটি মসজিদসহ দুই মসজিদ ও পৃথক আরো এক স্থানে সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট বাতিল করা হয়েছে। দেশে ফিরে আসছে বাংলাদেশ দল।

১৫ মার্চ শুক্রবার জুমা নামাজ শুরুর দশ মিনিটের মাথায় হ্যাগলি ওভালের কাছের আল নুর মসজিদসহ দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়। এর পরপরই দুই বোর্ডের মিলিত সিদ্ধান্তে হ্যাগলি ওভালে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় টেস্ট বাতিল করা হয়।

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের পক্ষ থেকে এক টুইট বার্তায় বলা হয়, ‘ক্রাইস্টচার্চের ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবার ও বন্ধুদের জন্য রয়েছে আমাদের মন থেকে সমবেদনা। এই অবস্থায় বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে হ্যাগলি ওভাল টেস্ট বাতিল করা হবে। আবারও বলি দুই দলের খেলোয়াড় ও স্টাফরা নিরাপদে আছেন।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ওয়েবসাইট থেকে জানানো হয়েছে, ‘শহরের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা যারা নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ছিলেন তারা সবাই নিরাপদে হোটেলে পৌঁছেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে দলের সদস্য ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।’

শুক্রবারের জুমার নামাজ পড়তে প্রধান সড়কে টিম বাস রেখে হ্যাগলি পার্কের ভেতর দিয়ে হেঁটে আল নুর মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু মসজিদের কাছাকাছি যেতেই গুলির শব্দ শুনতে পান তারা। এক নারী সতর্কও করে দিলেন সেদিকে না যেতে। অনেকটা দৌড়ে ক্রিকেটাররা ফিরে আসেন টিম বাসে।

শুক্রবারের অনুশীলন শেষ করেই জুমার নামাজ আদায়ের জন্য ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নুরে যান ক্রিকেটাররা। তবে জানা গেছে ক্রিকেটাররা সবাই নিরাপদে ও অক্ষত শরীরে টিম হোটেলে পৌঁছেছেন।

জানা গেছে, ক্রিকেটারা চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে আসতে। জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসাম নিশ্চিত করেছেন, টিম হোটেলে নিরাপদেই আছেন তামিম-মুশফিকরা। তবে তারা কেউই বেশিক্ষণ নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করতে চাচ্ছেন না।

তিনি নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে বলেন, আমার মনে হয় না তারা এখন ক্রিকেট খেলার মতো অবস্থায় আছেন। তারা যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরতে চান। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমি যা শুনছি তা থেকেই বলছি।