ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর প্রয়াণ
ঢাকা ব্যুরো: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।
তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে এভরিনিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
১৩ জুলাই ২০১৯, শনিবার। ২৯ আষাঢ় ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। ০৯ জিলকদ ১৪৪০ হিজরি। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
• ১৭১৩- গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত।
• ১৮৩০- কলকাতায় আলেকজান্ডার ডাফ ও রাজা রামমোহন রায়ের যৌথ উদ্যোগে জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশন (স্কটিশ চার্চ কলেজ) চালু হয়।
• ১৮৫৮- স্কটিশ সংস্কার আইন পাস।
• ১৮৭৮- তুরস্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রোমানিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
• ১৯০৫- কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘শক্তিবান’ পত্রিকা ব্রিটিশ পণ্য বর্জনের আহ্বান জানায়।
জন্ম
• ১৮৮০- কথাসাহিত্যিক ইসমাইল হোসেন শিরাজী।
• ১৮৯৪- রুশ সাহিত্যিক আইজাক বাবেল।
মৃত্যু
• ১৯৬৯- বহুভাষাবিদ, শিক্ষক ও দার্শনিক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অবিভক্ত চব্বিশ পরগণা জেলার পেয়ারা গ্রামে তার জন্ম। সব সময়ই সাহিত্য জগতে তার পদচারণা ছিল। এমএ পাস করেই বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতির সম্পাদক হন। ১৯৪৮ সালে ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতি। বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার পক্ষে যে কয়জন ব্যক্তি জোরালো বক্তব্য রেখেছেন তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
• ১৯৯৫- কথাসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী।
ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও শিশুসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী মূলত লিখেছেন বিংশ শতাব্দীর বাঙালি সাধারণ নারীর জীবনযাপন ও মনস্তত্ত্ব নিয়ে। গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও পর্যবেক্ষণ তাকে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখিকার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। প্রথম প্রতিশ্রুতি-সুবর্ণলতা-বকুলকথা উপন্যাসত্রয়ী বিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলোর মধ্যে অন্যতম বলে বিবেচিত।