সোমবার সকাল ৯:৫৪, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

কসবা নলকূপের পাইপ দিয়ে বেরুচ্ছে গ্যাস, বালু আর পানি

বিভাগ অর্থনীতি, 6 February, 2020.

স্টাফ রিপোর্টার কসবা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে বসানো নতুন নলকূপের পাইপ দিয়ে বুধবার দুপুর থেকে গ্যাস, বালু আর পানি বের হচ্ছে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়টি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আশেপাশের লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।খবর পেয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ (ওসি) মোঃ লোকমান হোসেনসহ সালদা গ্যাস ক্ষেত্র সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সেখানে প্রচুর লোকজনের ভীড় থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সতর্কতা হিসেবে বিদ্যালয়ের চারিদিকে লাল নিশানা টানিয়ে দেয়া হয়েছে।এদিকে পাইপ দিয়ে দ্রুত বেগে বের হওয়া বালু ও পানিতে পুরো বিদ্যালয়ের মাঠ ভরে গেছে। ধসে পড়ার আশঙ্কায় বিদ্যালয়ের একটি ভবন থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে আসবাবপত্র। বিদ্যালয়টি সাময়িকভাবে বন্ধও ঘোষণা করা হয়েছে। নলকূপের পাশের একটি পরিবারকেও সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আশেপাশের বাড়ির মানুষকে রান্না-বান্না না করার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি ধুমপান কিংবা অন্য কোনো কারণে আগুন ব্যবহার না করতেও বলা হচ্ছে।শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন ভূঁইয়া জানান, সরকারিভাবে বিদ্যালয়ে গভীর নলকূপ বসানোর কাজ চলছে। প্রায় ৫৪০ ফুট পর্যন্ত পাইপ বসানোর পর বুধবার দুপুর থেকে পাইপ দিয়ে গ্যাস বেরুতে থাকে। এক পযার্য়ে প্রচন্ড গতিতে গ্যাসের সঙ্গে বালু ও পানি বেরুতে থাকে। কোনোভাবেই এটা বন্ধ করা যাচ্ছে না।এ ব্যাপারে কসবা ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার আব্দুল্লাহ খালিদ জানান, বুধবার থেকেই বিদ্যালয়ের মাঠে নলকূপ বসানোর কাজ চলছিল। নলকূপের পাইপ গভীরে প্রবেশ করার পরই তীব্র গতিতে গ্যাস কাঁদা বালি সহ বের হয়ে আসছে। ঘটনার পর তিনি সহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হয়েছেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের পাশে গ্যাস উদগিরন এলাকা থেকে একটি পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও তৎপর রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সালদা গ্যাস ক্ষেত্রের লোকজন ঘুরে গেলেও প্রয়োজনীয় কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন নি। বিষয়টি তঁারা পেট্রোবাংলাকে অবহিত করেছেন। সেখানকার বিশেষজ্ঞরা এলে এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে বুঝা যাবে। তবে সেখানে পযার্প্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।