সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন ১৫ মার্চ
ঢাকা ব্যুরো: রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদ হত্যার ঘটনায় অভিযোগ গঠন শুনানি হবে ১৫ মার্চ (রোববার)।
৯ মার্চ সোমবার অভিযাযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগ গঠন শুনানির এই দিন ধার্য করেন।
৩০ বছর পর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চারজনের বিরুদ্ধে গত ১৪ জানুয়ারি আদালত অভিযোগপত্র দেন।
এক হাজার ৩০৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৫৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন-নিহত সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও ভাড়াটে খুনি মারুফ রেজা।
দীর্ঘদিনের মামলাটি দায়িত্ব নিয়ে দ্রুত সময়ে পিবিআই অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছেন বলে জানান সংস্থাটির প্রধান ও পুলিশের ডিআইজ বনজ কুমার মজুমদার।
তিনি বলেন, মামলটি যখন পিবিআইয়ের কাছ আসে, তখন আমরা বিয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিই। তদন্ত করতে গিয়ে আমরা জানতে পারি, নিহত সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়। এর মধ্যে রয়েছে শাহীন তার তিনতলার বাসা থেকে সগিরা মোর্শেদের রান্নাঘর ও বারান্দায় ময়লা ফেলতেন। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অনেক পছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল।
বনজ কুমার মজুমদার জানান, সগিরার কাজের মেয়ে জাহানুরকে মারধর করেন ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এই নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে শাহীন সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আসামিদের নিয়ে রাজারবাগ বাসার তিনতলায় সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ প্রকাশ্য দিবালোকে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় ২৫ জন কর্মকর্তা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান। মামলা চলাকালে ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হলেও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি কেউ। এদের মধ্যে একজনকে অভিযুক্ত করে একবার চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। পিবিআইর চার্জশিটে এর আগের অভিযুক্তকে দায়মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।