সোমবার রাত ১০:৫৪, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

লক্ষ্মীপুর কাউন্সিলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

বিভাগ আইন ও বিচার, 7 September, 2021.

স্টাফ রিপোর্টার লক্ষ্মীপুর: জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্বামী-স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বাহারসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আনোয়ার হোসেন উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতিও।

৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এ পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

মামলার বাদী রায়পুর পৌরসভার দেনায়েতপুর এলাকার দিনমজুর মো. ইউসুফ। কাউন্সিলর আনোয়ার ওই মামলার দ্বিতীয় আসামি। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন একই এলাকার মো. আরিফ হোসেন, রাজিব, মানিক ও লতিফ।

বাদীর আইনজীবী আনোয়ার হোসেন মৃধা বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আদালতের বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। গত ৩০ নভেম্বর তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়।

আইনজীবী আরও বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামির মধ্যে ৬ নম্বর আসামি দুলালকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ইউসুফের সঙ্গে বিবাদীদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মামলায় অভিযুক্ত আরিফ হোসেন, রাজিব, মানিক ও লতিফ মিলে ইউসুফকে মারধর করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকেও মারধর করা হয়। মারধরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা। ওই দিন রাত ৮টার দিকে চিকিৎসার জন্য ইউসুফ রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় কাউন্সিলরকে গালমন্দ করার অভিযোগ এনে তাকে কিল-ঘুষিসহ মারধর করা হয়। এতে তিনি ডান চোখেও আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

ভুক্তভোগী ইউসুফের ভাষ্যমতে, তার প্রতিপক্ষ কাউন্সিলরের আস্থাভাজন। এজন্য তিনি উল্টো দ্বিতীয়বার তাকে মারধর করেছে।

অভিযুক্ত কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বাহার বলেন, ইউসুফ এক জনের ঘর ভাঙচুর করেছে। এতে তাকে আমি বকাঝকা করার কারণে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং আমাকে মামলায় জড়িয়েছেন। তবে আমি তাকে মারধর করিনি।