১৪ বছর পর দিলু হত্যার রায়, ১ আসামির যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া: দীর্ঘ ১৪ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দেলোয়ার হোসেন দিলু হত্যা মামলায় রায় দিলেন আদালত।
১২ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আবু উবায়দা এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে মামলার প্রধান আসামি বাবুল মিয়াকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এছাড়া আরও পাঁচ আসামিকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এক বছর করে কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- দুলাল মিয়া, সৈয়দ খা, হাসান মিয়া, হানু মিয়া ও মোহাম্মদ আলী। বাকি ৪৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পূর্ব বিরোধের জেরে স্থানীয় একটি স্কুল মাঠে প্রতিপক্ষের লোকজন দা দিয়ে কুপিয়ে দেলোয়ার হোসেন দিলুকে রক্তাক্ত করেন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আখাউড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
সেখান থেকে দিলুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘটনার একদিন পর ১৫ ফেব্রুয়ারি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিলু মৃত্যুবরণ করেন। নিহত দেলোয়ার হোসেন দিলু ওই এলাকার বিলাল হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলোয়ার হোসেন দিলুর চাচা মনির মিয়া বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় একই এলাকার বাবুল মিয়াকে প্রধান করে ৫৩ জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ১৭ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এরই মধ্যে এক আসামি মারা যান। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ বাদীসহ ১৯ জনের সাক্ষ্য দেয় এবং বিবাদী পক্ষ নয়জনের সাফাই সাক্ষী দেয়। দীর্ঘ যুক্তিতর্ক শেষে মঙ্গলবার এ হত্যা মামলার রায় দিলেন আদালত।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুজিবুর রহমান ভূইয়া বলেন, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, সব আসামির সাজা হবে। খালাস পাওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
বিবাদী পক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন খাঁ এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।