সোমবার সন্ধ্যা ৬:৪৪, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

আসিফ আলীর শেষের ঝড়ে পাকিস্তানের জয়

বিভাগ খেলা, 26 October, 2021.

স্পোর্টস রিপোর্টঃ চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটের এই জয়টি খুব সহজ ছিল না বাবর আজমদের।
প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে বড় জয় পেলেও এ ম্যাচে আসিফ আলীর শেষের ঝড়ে স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।

২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যেখানে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তুলেছে কিউইরা।
জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ও ৮ বল বাকি থাকতে জয় পায় পাকিস্তান।

১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫.১ ওভারে ২৮ রান তোলেন দুই ওপেনার বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।
তবে ভারতের বিপক্ষে বড় জুটিতে জয় তুলে নেওয়া এই ওপেনাররা এদিন ভালো করতে পারেননি। টিম সাউদির বলে বোল্ড হয়ে বাবর ব্যক্তিগত ৯ রানে মাঠ ছাড়েন। ফখর জামান ও মোহাম্মদ হাফিজও নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি।

রিজওয়ান ৩৪ বলে ৩৩ রানের ধীর গতির ইনিংস খেলে ইশ সোধির শিকার হন। এরপর ম্যাচের একটা সময় বোলারদের দাপটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কিউইদের দিকে হেলে পড়ে। কিন্তু অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক ম্যাচের হাল ধরেন। তবে আসিফের শেষের ঝড়েই পাকিস্তান যে জয় তুলে নেয় সেটা বলাই যায়। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান মাত্র ১২ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। অপরদিকে ২০ বলে ২৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দল জিতিয়েই প্যাভিলিয়নে ফেরেন মালিক।

নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সফল বোলার সোধি ২টি উইকেট পান। একটি করে উইকেট তুলে নেন মিচেল স্যান্টনার, সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট।

টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হারিস রউফদের তোপে ভালো করতে পারেননি কিউই ব্যাটাররা। সর্বোচ্চ ২৭ রান করে আসে ওপেনার ড্যারেল মিচেল ও ডেভন কনওয়ের ব্যাট থেকে। মিচেল ২০ বলে একটি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংস খেলে ইমাদ ওয়াসিমের বলে বিদায় হন। তবে ২৪ বলে ২৭ রান করা কনওয়েকে আউট করেন রউফ।

অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ২৬ বলে ২৫ রানের মন্থর ইনিংস খেলে রান আউট হন। এছাড়া আরেক ওপেনার মার্টিন গাপটিল ২০ বলে ১৭ রান করে রউফের বলেই বোল্ড হন। দলের হয়ে আর কেউই নিজেদের ইনিংস বড় করতে না পারায় নিউজিল্যান্ডের স্কোর দেড়শ অবধিও যায়নি।

পেসার রউফ ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন। শাহীন শাহ আফ্রিদি, ওয়াসিম ও মোহাম্মদ হাফিজ একটি করে উইকেট দখল করেন।

দুর্দান্ত বল করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন রউফ।