সোমবার রাত ১১:৩৯, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

রাশিয়ার গ্যাসে নির্ভরশীলতা কমাতে যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ চুক্তি

বিভাগ আন্তর্জাতিক, 26 March, 2022.

আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ রাশিয়ার গ্যাসের ওপর ইউরোপের দেশগুলোর যে নির্ভরশীলতা তা কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস কেনার চুক্তি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইউরোপ সফরের মধ্যেই এ চুক্তির ঘোষণাটি এলো। চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরই ইইউকে অতিরিক্ত দেড় হাজার কিউবিক মিটার গ্যাস দেবে। এদিকে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর ইউরোপের নির্ভরতা কমাতে তেল-গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে কানাডা।

ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার গ্যাসের ওপর ইউরোপের নির্ভরশীলতার বিষয়টি জোরালোভাবে সামনে আসে। ইউরোপের গ্যাসের চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশই রাশিয়া মেটায়। যে কারণে, ইউক্রেনে রুশ অভিযানের পালটায় ইইউ মস্কোর ওপর অনেক ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিলেও গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জোটটি অবশ্য রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যার অর্থ, ইউরোপকে এখন আমদানি বাড়াতে হবে এবং নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে জোর দিতে হবে।

এদিকে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর ইউরোপের নির্ভরতা কমাতে তেল-গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। বৃহস্পতিবার কানাডীয় প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী জোনাথন উইলকিনসন জানিয়েছেন, চলতি বছর দৈনিক ৩ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত তেল ও গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে তার দেশ। এক বিবৃতিতে উইলকিনসন বলেছেন, রুশ আগ্রাসনের কারণে সৃষ্ট জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় মিত্রদের সাহায্য করার লক্ষ্যে জ্বালানি উৎপাদন প্রায় পাঁচ শতাংশ বাড়াবে কানাডা। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) বৈঠকে যোগ দিতে বর্তমানে প্যারিসে রয়েছেন কানাডীয় প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় বন্ধু ও মিত্রদের জন্য কানাডাসহ অন্যদেরও এগিয়ে আসতে হবে। তারা বলছে, সাময়িকভাবে রুশ তেল-গ্যাস বাদ দিতে এবং মহাদেশ জুড়ে শক্তি রূপান্তরে (এনার্জি ট্রানজিশন) আমাদের সাহায্য দরকার। কানাডা দুটি বিষয়েই সাহায্য করতে প্রস্তুত।’

সৌদি আরব, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পর কানাডা হচ্ছে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম তেল উৎপাদক। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কানাডার জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় রাজনীতিবিদরা। তবে এতে বাদ সেধেছেন পরিবেশবাদীরা। তাদের দাবি, রুশ জ্বালানির শূন্যস্হান পূরণে তেল-গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো জলবায়ু সংকট আরো বাড়িয়ে তুলবে। তাছাড়া, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে দ্রুতগতিতে জ্বালানি উৎপাদন বাড়ানোর মতো অবকাঠামো সক্ষমতাও নেই কানাডার।