ব্রাহ্মণবাড়িয়া খবর
কসবা পৌনে ২ কোটি টাকার শাড়ি-থ্রিপিস জব্দ
কসবা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত এলাকা থেকে এক কোটি ৮৫ লাখ টাকার শাড়ি, থ্রিপিস ও চাদর জব্দ করেছে বিজবি। পোশাকের বড় এ চালানটি ভারত থেকে পাচার করে আনা হয়েছিল।
৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কসবা উপজেলার খিরনাল সীমান্ত এলাকা থেকে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি), চন্ডিদার বিওপি, কুমিল্লা সেক্টর এসব ভারতীয় পণ্য জব্দ করে।
দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্তের ২০৩৭/৩ এস পিলারের কাছে অভিযান চালানো হয়।
এসময় ১১৩৪টি ভারতীয় শাড়ি, ৪৭০টি থ্রিপিস ও ৩৮১টি চাদর জব্দ করা হয়।
নাশকতার মামলায় ডাঃ আবু সাঈদ গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যৌথ অভিযানে আওয়ামিলীগ নেতা ডাঃ আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার দুপুর একটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ঘাটুরা এলাকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে আটক করা হয়।
ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচীপ) সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তিনি পৌর শহরের মধ্যপাড়া বর্ডার বাজার এলাকার আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগষ্ট সকাল ১০টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ জনগনকে মারধর করেন। সেদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকায় আসামীগণের নেতৃত্বে ছাত্রজনতার আন্দোলনে মারধরসহ বোমা ও ককটেল বিষ্ফোরণ করেন।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী হিসেবে যৌথ বাহিনীর অভিযানে রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ থেকে আবু সাঈদকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, নাশকতা মামলায় ডাঃ মোঃ আবু সাঈকে যৌথ অভিযানে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা রয়েছে।
বিজয়নগর ট্রাক চাপায় পথচারী নিহত
কসবা: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ট্রাক চাপায় আরব আলী (৫৭) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
শনিবার সকালে উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের বীরপাশা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আরব আলী বীরপাশা এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে আরব আলী বীরপাশা বাসস্ট্যান্ডের অদূরে সড়কের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
এ সময় ঢাকাগামী বেপরোয়া গতির একটি ড্রাম ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে চাপা দেয়। এতে ট্রাকটিও সড়কের পাশে উল্টে যায়।
ট্রাকচাপায় পথচারী আরব আলী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারগুব তৌহিদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক ট্রাকটিকে জব্দ করেছে। তবে চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে হাজতির আত্মহত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে মো. জুয়েল (৩৪) নামে এক হাজতি ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
নিহত মো. জুয়েল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের আবু চান মিয়ার ছেলে। তিনি ২০২০ সালে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে হাজতি হিসেবে ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকরামুল হক নাহিদ জানান, জুয়েল স্ত্রী হত্যা মামলায় বিচারাধীন ছিলেন। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন।
তাকে কারাগারের সেলে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সে সেলের গ্রিলের লোহার রডে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ অবস্থায় কারারক্ষীরা দেখে কারা হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তাকে প্রাথমিকভাবে মৃত ঘোষণা করেন। পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চূড়ান্তভাবে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রিপন বড়ুয়া নামে এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রশিদ ও সহকারী কারারক্ষী উত্তম কান্তি বড়ুয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। শুক্রবার সকালে মরদেহের ময়নাতদন্তের শেষে পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হয়েছে।
কসবা অটোরিকশা ছিনতাই করতে চালককে হত্যা
কসবা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ছিনতাই করতে রিফাত (১৫) নামে এক কিশোর চালককে খুন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মনকাসাই এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সে কুটি ইউনিয়নের কালা মুড়িয়া গ্রামের মো. আবেদ মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, রিফাত পড়ালেখার পাশাপাশি বাবার অটোরিকশা চালাতো।
বুধবার সন্ধ্যায় সে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। রাতভর অনেক খোঁজাখুঁজির পর বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের লোকজন শাহপুর এলাকার একটি গ্যারেজে অটোরিকশাটি দেখতে পান।
এসময় ছিনতাইকারী আপন মিয়া অটোরিকশাটি গ্যারেজ থেকে নিতে এলে তাকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। পরে আপন মিয়া জানান যে রিফাতকে হত্যা করে তিনি অটোরিকশা নিয়ে এসেছেন।
পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মনকাসাই এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশ থেকে রিফাতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণাবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। আপন মিয়া উপজেলার চন্ডীদ্বার গ্রামের আলমগীর মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল হক কবির বলেন, অটোরিকশাটি ছিনতাই করতেই চালককে খুন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুবলীগের সহ-সভাপতি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অস্ত্রসহ জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. সুমন মিয়া প্রকাশ সুমনকে গ্রেপ্তার করছে যৌথবাহিনী।
শনিবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করে যৌথবাহিনী।
এর আগে শুক্রবার রাতে জেলা শহরের মধ্যপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুমন জেলা শহরের মধ্যপাড়া এলাকার হাজী মোহাম্মদ মুসলিম মিয়ার ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে জেলা শহরের মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার বসতঘর তল্লাশি করে অবৈধ একটি পিস্তল, একটি খালি কার্টুন ও তিনটি রাউন্ড অ্যামো. উদ্ধার করা হয়।
পরে রাতেই তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হবে।