সোমবার সকাল ১০:২০, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ

বিভাগ খেলা, 7 September, 2023.

স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার তিতাস নদীতে হয়ে গেল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ। ছলাৎ ছলাৎ শব্দে গর্জে উঠলো তিতাসে বাইচালদের বৈঠা।

চমৎকার এই মাহেন্দ্রক্ষণ উপভোগ করতে ভিড় করেন হাজার হাজার দর্শক।

৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড, দারাজ বাংলাদেশ ও ইউনিভার্সেল মেডিকেলের সহযোগিতায় তিতাস নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

তিতাসের বুকভরা ঢেউ আর প্রাণভরা উচ্ছ্বাসে পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গাঁওগ্রাম এলাকা থেকে মেড্ডার শিশু পরিবার এলাকায় তিতাস নদীতে অনুষ্ঠিত হয় এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।

এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের চারটি, বিজয়নগর উপজেলার পাঁচটি, নবীনগর উপজেলার দুইটি, আশুগঞ্জ উপজেলার দুইটি ও নাসিরনগর উপজেলার একটিসহ মোট ১৫টি প্রতিযোগী দল তাদের সুসজ্জিত নৌকা আর রঙ বে-রঙের বাহারি পোশাক পড়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

প্রতিযোগিতা চলার সময় বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মাঝিদের ভাটিয়ালী গান আর পানিতে বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ আওয়াজে পুরো এলাকা মুখরিত হয়।

বিকেল ৩টার দিকে পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গাঁওগ্রাম এলাকায় নৌকাবাইচের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

এ সময় জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।

মেড্ডার কালাগাজীর মাজার এলাকায় পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসীম উদ্দিন।

নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে নবীনগর উপজেলা, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে সরাইল উপজেলা এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে আশুগঞ্জ উপজেলা। পরে প্রধান অতিথি প্রথম স্থান অর্জনকারী দলকে একলাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে ৫০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে ৩০ হাজার টাকা এবং ট্রফি উপহার দেন। এছাড়াও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক দলকে নগদ ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা চলার সময় শিমরাইলকান্দি গাঁওগ্রাম এলাকা থেকে মেড্ডা শিশু পরিবার এলাকা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১০টি মোবাইল কোর্ট টিমসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি, নৌ-পুলিশ, ডুবুরিদল, ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টিম নিয়োজিত ছিল। নিরাপত্তার জন্য আকাশে উড়ানো হয় ড্রোন।