সিলেটকে উড়িয়ে কুমিল্লার বড় জয়
স্পোর্টস রিপোর্ট: ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে বড় হারের স্বাদ পেল ডেভিড ওয়ার্নারের দল সিলেট সিক্সার্স। সাবেক অজি সহ-অধিনায়ক এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ। দল অল-আউট হলো মাত্র ৬৮ রানে। এই রান তুলতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সময় লাগল মাত্র ১১.১ ওভার ওভার। সিলেটকে ৮ উইকেটে ধরাশায়ী করে চলতি আসরে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে ইমরুল কায়েসের দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই মামুলি টার্গেট তাড়া করতে নেমে দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে বসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দুই ওপেনারই ‘ডাক’ মেরে বিদায় নেন। এর মধ্যে এনামুল হক রান-আউট এবং তামিম ইকবাল সোহেল তানভীরের বলে এলবিডাব্লিউ হন। দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস এবং শামসুর রহমান। এই অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১১.১ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। শামসুর ৩৭ বলে ৩৪* এবং ইমরুল কায়েস ২২ বলে ৩০* রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে বিপিএলের সিলেট পর্বের প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪.৫ ওভারে মাত্র ৬৮ রানে অল-আউট হয় সিলেট সিক্সার্স। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে আন্দ্রে ফ্লেচারকে (৪) বোল্ড করে দেন মেহেদী। এক বল পরে আবারও স্টাম্প উড়ে যায় অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের (০)! পরের বলে অবশ্য বোল্ড নয়; এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন আফিফ হোসেন (০)। হ্যাটট্রিক করার সুযোগ থাকলেও সেটা শেষ পর্যন্ত পারেননি মেহেদী। নিকোলাস পুরান মেহেদীর ওভারের শেষ বল সতর্কতার সঙ্গে সামলান।
৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে যায় সিলেট সিক্সার্স। বিপদ আরও বাড়ে যখন নিকোলাস পুরানকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। নিজেকে হারিয়ে খোঁজা লিটন দাস (৬) লিয়ান ডসনের বলে ক্যাচ তুলে দিলে দলীয় ১৫ রানে অর্ধেক ইনিংস শেষ হয় সিলেটের। ডসনের দ্বিতীয় শিকার সাব্বির রহমান (৬) যথারীতি ব্যর্থ। এরপর আবারও মেহেদীর আঘাত। সোহেল তানভীর (৫) তার চতুর্থ শিকার হলে ২২ রানে ৭ উইকেট হারায় সিলেট।
১৩তম ওভারে এই ম্যাচেই একাদশে সুযোগ পাওয়া ওয়াহাব রিয়াজের বলে তাসকিন আহমেদ (৪) ক্যাচ দিলে ৮ম উইকেট হারায় সিলেট। একই ওভারের শেষ বলে এই পেসারের বলে বোল্ড হয়ে যান নাবিল সামাদ (০)। দুই অংকে পৌঁছা একমাত্র ব্যাটসম্যান অলক কাপালির বাউন্ডারিতে পঞ্চাশ পার করে সিলেট। ওয়াহাব রিয়াজের বলে আল-আমিন বোল্ড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১৪.৫ ওভারে ৬৮ রানে অল-আউট হয় সিলেট সিক্সার্স। ২২ রানে ৪ উইকেট নেন মেহেদী আর ২.৫ ওভারে মাত্র ১৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন ওয়াহাব রিয়াজ।