আসব তোমার গাঁয়ে
” ফাতিমা পারভীন ” একবার যদি পারি আসব তোমার গাঁয়ে সেদিন মুক্তি দিয়ে দেব চিরতরে তোমার খণ্ডকালীন মায়ার বাঁধনে আজ আমি ছেঁড়া নক্ষত্রের মতো পড়ে আছি চাইলেও জ্বলে উঠতে পারিনা গোধূলির নরম আভাসে তোমাকে চাইতে গিয়ে হেরে যাই অসীম দিগন্তে একাই হাঁটি সময়গুলো বড্ড অশুদ্ধ অবেলায় দাঁড়িয়ে তোমাকে ডেকে ডেকে ব্যাকুল বড় তেষ্টা তোমার নামে হৃদয় শুকিয়ে যায় আমাকে নিঃসঙ্গ পথিক করে দেয়। একবার যদি পারি আসব তোমার গাঁয়ে মুক্তির মিছিলে স্লোগান হয়ে খতিয়ে দেখবো তুমি কতটা মুক্তি চেয়েছিলে তোমার জন্য ক্ষত হৃদয়ে শরতের মেঘের মতো এতো এতো অপেক্ষার জলরাশি বিষাদ ছুঁয়ে বিমূর্ত হয়ে ওঠে কবিতার মায়াজালে বিরহের ঘরবাড়ি বিধ্বস্তের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। একবার যদি পারি আসব তোমার গাঁয়ে সেদিন হৃদপিণ্ডের কাব্য থলে থেকে বের করে দেব গোপনে লেখা তোমার নাম হয়তো মুক্তির পেরেকের আঘাতে আঘাতে পরিপূর্ণ হবে বিষাদময় অক্ষর বিন্যাস ছন্দপতনের শব্দভাণ্ডার ভেঙ্গে যাবে দীর্ঘ মেয়াদি অনল তোমার খণ্ডকালীন সামান্য স্মৃতি মৃত্যু যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিবে নতুন করে ছারখার করে বিস্তারিত
হে অন্তর্যামী
” কবি দেওয়ান মারুফ “ ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সৃষ্টির স্রষ্টা তুমি, তুমি অন্তর্যামী তোমার ই করুনায় আমি এই জীবনের পথ চলি ।। জানি না কোন অপরাধে অপরাধী আমি কখন অজানাতে ভুল করে থাকি ।। মাফ করে দাও খোদা, আমি ক্ষমাপ্রার্থী চারিদিকে অসংখ্য অনিয়মের হাতছানি তারই মাঝে আমি পথ চলি ।। জানি তুমি ক্ষমাশীল, দয়ার সাগর তুমি তোমার ই সৃষ্টি আমি, দিয়েছো জ্ঞান বুদ্ধি তার মাঝেও আমি ভুল করে থাকি ।। হে মহান অধিপতি, তুমি সৃষ্টিকর্তা মানি তোমার ই ঈশারায় চলে এই জগতের সকল প্রাণী তোমার ই বিচারালয়ে একদিন হবে বিচার কেউ দিতে পারবে না ফাঁকি ।। Tweet
কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি…
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ৭ সেপ্টেম্বর: বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে ‘কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদ’ গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার টি এ রোডের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় উপস্থিত সকল সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। আনুষ্ঠানিক কমিটি গঠন সম্পন্ন হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। কবির সাহিত্যকর্ম ও জীবন নিয়ে গবেষণা এবং তার স্মৃতিকে সংরক্ষণ করার লক্ষ্যেই এ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমে বিশিষ্ট সাংবাদিক, কবি,গীতিকার মোঃ ইব্রাহিম খান সাদাতকে সভাপতি ও কবি লিটন হোসাইন জিহাদকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করা হয়। কমিটির সহ সভাপতি হলেন প্রভাষক রাবেয়া জাহান তিন্নি, সাংবাদিক জাহাঙ্গির খান পলাশ, কবি ও গবেষক গাজী তানভীর আহমেদ সহ-সম্পাদক সালাউদ্দিন খান, কবি রাকিবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সায়মন মৃধা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কবি রিয়াজ ইনসান, কোষাধ্যক্ষ কবি গোলাম মোস্তফা, প্রচার সম্পাদক: জাকির হোসাইন জিকু, সদস্য: কবি জমির হোসেন পারভেজ, সদস্য:ইমি আক্তার। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর কমিটির বিস্তারিত
রাজ্য শাসনের কল্পনা—-
এডঃ মোঃ মোজাম্মেল হক রাজ্যের সব আজব কল্পনা আমার মস্তিস্কে ভীড় করে স্বপ্নের ভান ডাকে রাজ মহারাজের মতো রাজ্য শাসনের দুনিয়ার বিলাসবহুল অট্টালিকায় বসে তাম্র শাসনের কল্পনায় অবগাহন করি কখনো বা যুদ্ধ জয়ের নেশায় মত্ত হয়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত অন্য প্রান্তে ছুটে চলি পাহাড় সাগর কিংবা বন্ধুর পথ পেরিয়ে কল্পনার গন্তব্যে ছুটে চলার স্বপ্ন যে কেবলি মিথ্যা মরিচীকা ঢের পরে আমার জ্ঞান শক্তিতে বোধোদয় হয় আমি যখন লোকালয়ে ছুড়ে ফেলি আমার কল্পনার গল্প তখন অট্টহাসিতে মেতে উঠে অধিবাসীরা চারপাশে অভুক্ত বেদনায় অজস্র মানুষের ক্রন্দন ধ্বনি আমাকে আহত করে না নিপীড়িত মানুষের আর্ত চিৎকারে একবারও আমার সম্বিৎ ফিরে আসে না অত্যাচারের পরাকাষ্ঠে বির্বন বেদনায় নিমজ্জিত প্রতিচ্ছবি দেখে আমি নির্বাক আমাতে জাগে না কোন প্রতিবাদ কিংবা প্রতিরোধের কিঞ্চিৎ স্প্রীহা আমি নাকি আবার রাজ্য শাসনের কল্পনায় বিভোর এক অদম্য নাবিক তবুও কল্পনায় আঁকি হেমিলনের বাঁশিওয়ালার মতো এক অলৌকিক সুরের ঝংকারে শহর নগর কিংবা গ্রামের জনতাকে বিপ্লবী চেতনায় ভাসিয়ে দিতে চোখ মেলে দেখি বিপ্লবের বিস্তারিত
ঝিনাইদহে এক ও দুই টাকার কয়েন ব্যবহারে বিপাকে জনসাধারণ, প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট সমাজ কর্মি তারেক মাহমুদ জয়ের লিখিত স্মারক লিপি জমা সেলিম, বংকিরা,ঝিনাইদহ সদর ————————————————— ঝিনাইদহ ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় এক ও দুই টাকার কয়েন এবং নোট দিয়ে দীর্ঘদিন কেনা-বেচা করা যায় না। জনসাধারণের মতামত থেকে বিষয়টি জানাগেছে যে, দোকানী ও ব্যাংক গুলো এই সকল কয়েন ও নোট গ্রহন করেন না। পরিবর্তে দোকানি ক্রেতাকে ফেরত দিতে তাদের হতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রাণ মিল্ক ক্যান্ড (চকলেট) । আবার অনেক ক্ষেত্রে অধিক মুনাফা লোভাতুর দোকানীরা তাও দিতে চাচ্ছেন না, এর পরিবর্তে কিছু চাইতে গেলেও কিছু দোকানী ক্রেতাদের সাথে করছেন দুর্ব্যবহার। পাঁচ টাকার ক্ষেত্রেও খুসরা নেই বলে অনেক ক্ষেত্রেই ঐসব দোকানদার সহ ও বাস ড্রাইভার, ইজিবাইক এবং পাখিভ্যান (চালোক) ড্রাইভাররা দিচ্ছেননা বাকি টাকা ফেরত। এ বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট, রোব’বার (২১ /৫/২০২৩) একটি লিখিত স্মারক লিপি দিয়েছেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান মানবতার ফেরিওয়ালা Taraque Mahamud বিস্তারিত
ডায়াবেটিস নিয়ে ভুল ধারণা
লাইফস্টাইল রিপোর্টঃ বর্তমান সময়ে অনেকেই ডায়াবেটিসে ভোগেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। এটি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য খাদ্যতালিকায় বদল আনতে হবে। এছাড়া জীবনযাপনের কায়দায় বদল, ঠিক সময়ে ওষুধ খাওয়া এবং নিয়মিত রক্তে চিনির পরিমাণ নির্ণয় করা উচিত। শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন। এ ডায়াবেটিস নিয়েও আছে নানা ভুল ধারণা। চলুন জেনে নিই- শুধু চিনিই ডায়াবেটিসের কারণ (ভুল ধারণা) ডায়াবেটিস হওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে। এরমধ্যে আছে ওজন, বেশির ভাগ সময় বসে কাজ করা, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ইত্যাদি। এছাড়া জেনেটিক বা বংশগত কারণেও হতে পারে। ডায়াবেটিস সেরে যায় (ভুল ধারণা) বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস একবার দেখা দিলে সারা জীবন থাকে। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। ঠিকমতো ওষুধ খেলে ও খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস বদলালেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ডায়াবেটিস শুধু রক্তে চিনির মাত্রাকে প্রভাবিত করে (ভুল ধারণা) ডায়াবেটিস অন্যান্য জটিলতাও সৃষ্টি করে। যেমন হৃৎপিণ্ড, চোখ, কিডনি, স্নায়ু বা পায়ের সমস্যা। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি। আমার পরিবারে কারো ডায়াবেটিস নেই, তাই বিস্তারিত
সকালে খালি পেটে পানি পানের ৭ উপকারিতা
এভরিনিউজ রিপোর্টঃ পানির অপর নাম জীবন। আর এই কথাটিতেই বোঝা যায় যে, পানি আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশই গঠিত হয় পানি দিয়ে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের স্বাভাবিক ও মসৃণ কার্যকারিতার জন্য পানি অপরিহার্য।আমাদের সুস্থতার জন্য নিয়মিত অন্তত দুই লিটার পানি পান করা উচিত। এটি আমাদের শরীরে অনেকটা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখতে পানির গুরুত্ব অতুলনীয়। জেনে অবাক হবেন, পানির সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায় সকালে খালি পেটে পান করলে। আসুন জেনে নিই সকালে খালি পেটে পানি পান করলে পাওয়া যাবে যে সাত স্বাস্থ্য উপকারিতা— ১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে পানি প্রয়োজনীয়। আর নিয়মিত সকালে খালি পেটে পানি পান করলে সেটি আমাদের ইমিউন সিস্টেমের অনেক উপকার করে। এর ফলে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ২. বিপাক ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে সকালে খালি পেটে পানি পান করলে সেটি বিপাকীয় হারকে বিস্তারিত
আজ বিশ্ব এইডস দিবস
এভরিনিউজ রিপোর্টঃ আজ ১ ডিসেম্বর, বিশ্ব এইডস দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অসমতা দূর করি, এইডসমুক্ত বিশ্ব গড়ি’। ১৯৮৮ সাল থেকে এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সারা বিশ্বে আজকের দিনে দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও দিবসটি পালনে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।সারা বিশ্বে এইচআইভি আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ১৩৪। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ ৪০ হাজার ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।সূত্র- ওয়ার্ল্ডোমিটারস ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয়। দেশে এইডস সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার জন। এদিকে আক্রান্ত কম হলেও ঝুঁকি বেশি। পার্শ্ববর্তী দেশে ভারত ও মিয়ানমার এ রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মতে, দেশের ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ নারীই এইডস বিষয়ে অবগত নন। এইডসের অন্তত একটি বাহক সম্পর্কে অবগত ৭১ দশমিক ৫ শতাংশ নারী। সবগুলো বাহক সম্পর্কে অবগত ৩৬ শতাংশ নারী। বাংলাদেশে রিকশাচালকদের মধ্যে একটি গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ লোক বিস্তারিত
শুরু হলো ভাষার মাস
এভরিনিউজ রিপোর্ট: শুরু হলো ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। শুরু হলো ছোট্ট সোনামণির মুখে আধো আধো বুলিতে ‘অ আ ক খ’ বলার ইতিহাসের গল্প। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে যারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাদের অমলিন স্মৃতি স্মরণের মাস ফেব্রুয়ারি। ১ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে যে সূর্যের উদয় হবে, তাতে মিশে থাকবে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি’র করুণ সুর। বাঙালির কাছে এই মাস ভাষার মাস, দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হওয়ার মাস। তাই তো বাঙালি জাতি পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ভালোবাসা জানাবে ভাষা শহীদদের প্রতি। ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’ পাকিস্তান সরকারের এমন ঘোষণার প্রেক্ষাপটে পূর্ব বাংলায় অবস্থানকারী বাংলাভাষী সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয়। জাগে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। পূর্ব বাংলার বাংলাভাষী মানুষ আকস্মিক ও অন্যায্য এ সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি। তাই বাংলাভাষার সমমর্যাদার দাবিতে পূর্ব বাংলায় আন্দোলন দ্রুত দানা বেঁধে ওঠে। আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে মিছিল, সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯৫২ সালের ২১ বিস্তারিত