সোমবার রাত ৪:৩০, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

বিভাগ » রাজনীতি.

বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে, ওবায়দুল কাদের

ঢাকা ব্যুরো: এবারের নির্বাচনে বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপি এবার মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। যাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বাড়িতে গিয়েও ধরনা দিচ্ছেন। আমাদের খবর আছে- সেইসব বিএনপি নেতা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করতে নানা ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। এজন্য তাবলিগ জামাতসহ অনেকের ওপর ভর করার চেষ্টা করছে। বিএনপি নেতা রিজভীর প্রতি ইঙ্গিত করে ওবায়দুল বলেন, নয়াপল্টন হচ্ছে মিথ্যাচারের ফ্যাক্টোরি। সেখানে একজন আবাসিক নেতা রয়েছেন। তিনি সব সময়ই মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছেন। জিয়া পরিবারকে নিশ্চিত করা বিষয়ক বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতিহাস বলে, জিয়া পরিবারই বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সব ধরনের ষড়যন্ত্র করেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিরাপদে কারা বিদেশ পাঠিয়েছিলো, ইমডেননিটি অধ্যাদেশ জারি করে কারা খুনিদের বিচার বন্ধ করেছিলো, কারা পঞ্চম বিস্তারিত

মনোনয়ন বাতিল কমিশনের বিষয়, সরকারের সংশ্লিষ্টতা নেই

ঢাকা ব্যুরো; মনোনয়ন বাতিলের বিষয়ে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এটা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের বিষয়। আর খালেদা জিয়ার বিষয়টি আদলতেই সিদ্ধান্ত হয়ে আছে, দণ্ডিত কেউ নির্বাচন করতে পারবে না। আইনের ব্যাপার, আদালতের ব্যাপার নির্বাচন কমিশনের নিয়ম-কানুনে কেউ বাতিল হলে আমাদের কি করার আছে? ৩ ডিসেম্বর সোমবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে একথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমাদের তো দেশেই থাকতে হবে, জনগণের মধ্যেই থাকতে হবে। আমরা চাই সবাই নির্বাচনে লড়বে এবং নির্বাচনে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে। জনগণ যাদেরকেই ভোট দেবে তারা জনগণের বেশি সমর্থন পেয়ে সর্বাধিক সিট পেয়ে সরকার গঠন করতে পারে। এখানে জোর-জবরদস্তি কোনো বিষয় না। তিনি বলেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে থেকে আমার একটি রেসপসিবিলিটি আছে। এখন এক কথা বলবো, আজ থেকে ২৬-২৭ দিন পর যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তখন কি হবে। আমরা একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। গতবার বিএনপি অংশ না নিয়ে যে অবস্থা তৈরি বিস্তারিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬টি আসনে ৪০ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬টি আসনে ৪০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন। ২ ডিসেম্বর রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ৮৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১- (নাসিরনগর) আসনে ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এরা হলেন- সৈয়দ নজরুল ও মনজু মিয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয় ২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) ২৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ১১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এরা হলেন- মো. মোখলেছুর রহমান, আক্তার হোসেন, মো. গিয়াজ উদ্দিন, মো. আশরাফ উদ্দিন, সৈয়দ তানভীর হোসেন, মো. মহিউদ্দিন মোল্লা, হাফিজুর রহমান, আবু আসিফ আহমেদ, শাহজাহান আলম সাজু, মো. সফিউল্লা, শাহ মফিজ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ (সদর-বিজয়নগর) ১৬ জন প্রার্থীদের মধ্যে ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এরা হলেন-বশির উল্লাহ জুরু, সৈয়দ মাহমুদুল হক, মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদী, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন লিটন, আব্দুল্লা আল হেলাল, জামাল রানা, তারিকুল রউফ, ওমর ইউসূফ খান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ বিস্তারিত

ফখরুলের স্বাক্ষরে সন্দেহ থাকায় মানিকগঞ্জে মনোনয়ন বাতিল

ঢাকা ব্যুরো: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরের প্রশ্ন তুলে মানিকগঞ্জের জেলার সবার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ বিষয়ে দলের মহাসচিবের স্বাক্ষরিত অভিযোগের চিঠি নিয়ে ২ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে জমা দেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার। এ বিষয়ে বিজন কান্তি সাংবাদিকদের বলেন, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মির্জা ফখরুল সাহেবের স্বাক্ষর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমন প্রশ্ন তুলে আমাদের সব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছে। আমরা যোগাযোগ করেছি এবং মির্জা ফখরুলও কমিশনে যোগাযোগ করেছেন এটা তার স্বাক্ষর। যাতে এর জন্য প্রার্থীদের হয়রানি না করা হয় এবং তাদের মনোনয়ন গ্রহণ করা হয়। তিনি বলেন, আমরা ইসি সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি আমাদের জানিয়েছেন যেহেতু কথা বলার আগেই ডিসি সাহেব মনোনয়ন বাতিল করেছেন এখন তার পক্ষে এটি গ্রহণ করার সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, এটা খুবই একটা নির্মম ঘটনা। ৬৪ জেলায় কেউই প্রশ্ন তুলল না, স্বাক্ষর মহাসচিব সাতশ’ এর বেশি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন সেখানে একটু এদিক সেদিক হতে পারে। বিস্তারিত

রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়ন বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার পটুয়াখালী: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-১ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মহা-সচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। ২ ডিসেম্বর রোববার বিকেল ০৪টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি জানান। জানা যায়, ঋণ খেলাপির কারণে রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল করতে পারবেন। Tweet

কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল

ঢাকা ব্যুরো: ঋণ খেলাপীর দায়ে টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর-বাসাইল) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ২ ডিসেম্বর রোববার টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার শহিদুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন। এছাড়াও আরও ১২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। Tweet

ইমরান এইচ সরকারের মনোনয়নপত্র বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ (রাজিবপুর, রৌমারী ও চিলমারী উপজেলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ২ ডিসেম্বর রোববার সকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন তার মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান জানান, নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী আসনের মোট ভোটারের ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটরের সমর্থন থাকতে হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা. ইমরান এইচ সরকারের এ সম্পর্কিত তথ্যে ঘাটতি রয়েছে। তাই জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, এটা একটা অমূলক অজুহাত। আসলে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে জটিল করতেই আমিসহ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তালিকায় দেওয়া আমাদের সমর্থক ভোটারদের সংখ্যায় কোনো ঘাটতি নেই, হয়তো ক্রমিক সংখ্যায় ভুল থাকতে পারে যা সংশোধনযোগ্য। Tweet

সরাইল- আশুগঞ্জ দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে ভোটারদের মধ্যে স্বতন্ত্র…

মো: সাইফুল ইসলাম, আশুগঞ্জ: কঠোর সতর্কবার্তা ও কলাকৌশলের পরও আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জোটেই দলীয়, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঠেকানো সম্ভব হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২( সরাইল- আশুগঞ্জ) আসনে, এই কথিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই মূলত বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে পরে চিহ্নিত হবেন উভয় জোটের কাছে। হ্মমতাসীন আওয়ামী লীগের জোটে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২( সরাইল- আশুগঞ্জ) নির্বাচনী আসনে তুলনামূলক বেশি। তবে পিছিয়ে নেই, সরকারবিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও। ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২( সরাইল- আশুগঞ্জ) আসনটিতে একাধিক ব্যক্তিকে বিএনপির দলীয় প্রত্যয়ন পত্র দেওয়া হয়। এর পরও অনেক দলীয় পদধারীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আর এসব স্বতন্ত্র প্রার্থী ‘নৌকা, ধানের শীষ ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীদের চোখের ঘুম হারাম করছে। বিদ্রোহী এসব প্রার্থী শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে টিকে থাকলে দুশ্চিন্তা বাড়বে প্রতীক বরাদ্দ প্রার্থীদের মাঝে, বলে মনে করছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২( সরাইল- আশুগঞ্জ) নির্বাচনী আসন ২৪৪ এর সাধারণ ভোটার ‘রা। নির্বাচনকে ঘিরে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভয়ছে এক প্রকার উৎসব – আমেজ, আর গ্রাম – গঞ্জের বিভিন্ন হাট – বাজারের চায়ের দোকানে চলছে বিস্তারিত

গায়েবি মামলায় গ্রেফতার বন্ধের দাবি ফখরুলের

ঢাকা ব্যুরো: গায়েবি মামলায় গ্রেফতার বন্ধের দাবি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। অবিলম্বে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও মামলা দেওয়া বন্ধ না হলে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকে এবং নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বহন করতে হবে। ৩০ নভেম্বর শুক্রবারবিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের নির্দেশ অনুসরণ করছে। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সাত দফা দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের কোনো দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে একটি প্রহসনের নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন জনগণের সামনে প্রশ্ন এসেছে আদৌ নির্বাচন হবে কি-না। এই প্রহসনের নির্বাচন করে কি লাভ? তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করছে। তফসিলের পর কোনো গ্রেফতার হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অথচ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে কমিশন কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। তারা সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়ন করে চলেছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারকে স্পষ্ট বলতে চাই, গায়েবি মামলায় গ্রেফতার বন্ধ করুন, গ্রেপ্তারদের বিস্তারিত